দই একটি দুগ্ধজাত খাবার। যাদের দুধ সহজে হজম হতে চায় না, তারা বিকল্প খাবার হিসেবে বেছে নিতে পারেন দইকে।

দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার, যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। দইয়ের উপকারী ব্যাক্টেরিয়া হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা দূর করে। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ২, বি ১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। এর ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বক এক্সফলিয়েট করে এবং মৃত কোষ দূর করে।

আমেরিকার হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকদের মতে, টকদই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা যায়, যারা কম চর্বিযুক্ত দই খান, তাদের উচ্চ রক্তচাপ তুলনামূলক কম হয়। সেই সঙ্গে ভালো থাকে হার্টও।

অনেকেই দুপুরের খাবারের পর দইকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। দইয়ের টক স্বাদের চেয়ে মিষ্টি দইকেই সবাই বেশি পছন্দ করে থাকেন। তাই স্বাস্থ্যসচেতনরা বাড়িতে কীভাবে সহজেই মিষ্টি দই তৈরি করবেন, তাদের জন্য থাকছে সহজ একটি রেসিপি।

প্রয়োজনীয় উপকরণ: বাড়িতে মিষ্টি দই তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে ১/২ কাপ চিনি, ১/২ কাপ দুধ, ১.৫ লিটার দুধ (পরে যোগ করার জন্য), ৩/৪ কাপ চিনি (পরে যোগ করার জন্য), ৪ টেবিল চামচ পানি, ১/২ কাপ বাজার থেকে আনা পানি ছাড়া দই, মাটির হাঁড়ি ১টি, ১টি পরিষ্কার তোয়ালে।

যেভাবে তৈরি করবেন: মিষ্টি দই তৈরি করতে প্রথমে অল্প আঁচে একটি সসপ্যান চুলায় বসিয়ে দিন। এরপর এর মধ্যে ১/২ কাপ চিনি এবং ৪ টেবিল চামচ পানি দিন। যতক্ষণ-না পানি ও চিনি ফুটে উঠছে, ততক্ষণ ভালো করে রান্না করতে থাকুন। তৈরি করা শিরা বাদামি হয়ে এলে এর মধ্যে ১/২ কাপ দুধ যোগ করুন এবং মিশ্রণটি ভালো করে নাড়তে থাকুন। এরপর এর মধ্যে ১.৫ লিটার দুধ যোগ করুন।

১৫ মিনিট অল্প আঁচে দুধ রান্না করুন ঘন হওয়ার জন্য। যখন দেখবেন দুধ ঘন হতে শুরু করেছে, তখন ৩/৪ কাপ চিনি যোগ করুন। হালকা বাদামি রঙে পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। হালকা হলুদ রঙের ঘন দুধ হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করুন এবং দুধ হালকা গরম হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

এবার একটি কাচের বাটিতে ১.৫ কাপ আগের বাজার থেকে আনা দইয়ের ছাঁচ নিন। তা ভালোভাবে ফেটে নিয়ে তাতে তৈরি করা হালকা গরম দুধ যোগ করুন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন।

এবার মিশ্রণটি একটি মাটির পাত্রে ঢালুন। পাত্রের মুখ ফয়েল পেপার দিয়ে আটকে দিন। তারপর পাত্রটিকে তোয়ালের মধ্যে জড়িয়ে রাখুন। এটি একটি বড় পাত্রের মধ্যে রাখুন এবং ঢাকনা বন্ধ করে দিন। এরপর দুই ঘণ্টার জন্য চুলার সর্বনিম্ন লো ফ্লেমে পাত্রটিকে রাখুন। এরপর মাটির হাঁড়িটা বের করে ঠান্ডা হতে দিন। তৈরি আপনার মিষ্টি দই।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

 

 

কলমকথা/ বিথী